1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিলেটে আছড়ে পড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ!

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫০৪ বার পঠিত

সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। মৃত্যুর মিছিলে লাগাম থাকলেও প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার। গেল ডিসেম্বরের পুরো মাসে যেখানে করোনাক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ১০৬ জন, সেখানে চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম দশদিনের মধ্যেই শনাক্ত হয়েছেন ১৪৫ জন! এই পরিস্থিতিতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩২ জন। ৬৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের হার ৪.৮০। রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও শনাক্তের হার গত প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ!

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় চার মাস সিলেট বিভাগে করোনার সংক্রমণ ছিল নিয়ন্ত্রণে। এ সময়ে বেশ কয়েকদিন গেছে, যেদিন কোনো রোগীই শনাক্ত হননি নমুনা পরীক্ষায়। শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসেই অন্তত পাঁচদিন কোনো রোগী শনাক্ত হননি।

কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলাতে শুরু করেছে। প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে, ১ জানুয়ারি সিলেট বিভাগে করোনায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৩১ ভাগ, ২ জানুয়ারি ০.৪২, ৩ জানুয়ারি ১.২০, ৪ জানুয়ারি ১.৫২ ভাগ। ৫ জানুয়ারি সংক্রমণের উল্লম্ফন দেখা যায়। সেদিন সংক্রমণের হার ছিল ৩.১৪ ভাগ। এরপর ৬ জানুয়ারি ২.৮৮ ভাগ, ৭ জানুয়ারি ১.৬১ ভাগ, ৮ জানুয়ারি ৩.০৯ ভাগ এবং ৯ জানুয়ারি ২.৮৫ ভাগ ছিল সংক্রমণের হার।

এসব ছাপিয়ে সর্বশেষ চব্বিশ ঘন্টায় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ ভাগে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে সিলেট বিভাগে ১০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয় নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে। এ মাসে বিভাগে মারা যান ৩ জন।

গত ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে আজ ১০ জানুয়ারি সকাল ৮টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৪৫ জন। সবমিলিয়ে বিভাগে রোগীর সংখ্যা এখন ৫৫ হাজার ২৩১ জন। তন্মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৪৯ হাজার ৯৯০ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৩ জন।

এদিকে, বর্তমানে সিলেটজুড়ে জ্বর, সর্দির প্রকোপ বাড়ছে। কিন্তু জ্বর-সর্দিতে ভোগা সিংহভাগ মানুষেই করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন না। এখন প্রতিদিন বিভাগের চার জেলা মিলিয়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ মানুষের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, করোনার সংক্রমণ বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতিও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সিলেটে বেশ কিছুদিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন আবার বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করা যাবে না, যতোটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, এখন টিকার সংকট নেই। সবাইকে টিকা গ্রহণ করতে হবে। টিকা নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..